Thursday,   23 January, 2025

নিউইয়র্কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চেরি

Published: 21:28, 19 December 2024

নিউইয়র্কে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চেরি

নিউইয়র্কে চেরি

আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে এখন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চেরি ফুল। সাদা এবং হালকা গোলাপী চেরি ফুলে ছেয়ে আছে এই শহর। যে দিকেই চোখ যায় শুধু চেরি আর চেরি। জাপানের জাতীয় ফুল সাকুরা এদেশে এসে হয়েছে চেরি।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারে (সিআরআই) চাকরি করার সময় সাকুরা বা চেরি আমি প্রথম দেখি বেইজিংয়ে আমার অফিসের সামনের বিশাল লনে। ধবধবে দুধসাদা সাকুরার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তারপর যত বছর ওদেশে চাকরি করেছি শীতের শেষে এ ফুলের জন্য অপেক্ষা করেছি মনের অজান্তেই। অফিসে কথা বলে জেনেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে জাপান সরকার শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে সাকুরা গাছের কয়েকটি চারা সিআরআইকে উপহার দিয়েছিল।

সেই সাকুরা বা চেরির সৌন্দর্য এই শীতের শেষে নিউ ইর্য়ক ভ্রমণে এসে আবারও দেখলাম। এখানে প্রতিবছরই শীতের শেষে মার্চে যখন বসন্ত আসি আসি করে তখন পত্রহীন গাছগুলোতে হালকা গোলাপি কিংবা দুধ সাদা আভায় সহস্র ফুল ফুটে ওঠে। চোখের পলকেই যেন গাছগুলো ছেয়ে যায় ফুলে। এ ফুল আসে যেমনি দ্রুত ঠিক বিদায়ও নেয় দ্রুত। নয়নজুড়ানো চেরির স্থায়িত্ব মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন। তবে সব জায়গায় যে একই সময় ফোটে বা ঝরে যায় তা কিন্তু নয়। এলাকা ভেদে ৫/৭ দিন এদিক ওদিক হয়।

ঠিক এই সময়টাতে নিউ ইয়র্ক শহরের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে হাঁটলে, দেখা যায় রাস্তার দুই ধারে সারি সারি চেরি ফুলের গাছ ছেয়ে আছে গোলাপি আর সাদা ফুলের বাহার। হালকা বাতাস বইলেই ঝরা ফুলে ছেয়ে যায় পথ৷ প্রতিটি গাছের তলদেশ যেন শুভ্র কার্পেটে আচ্ছাদিত হয়ে থাকে। দৃষ্টির সীমানা পর্যন্ত ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে থাকে। মিষ্টি বাতাস গায়ে মেখে সেই পথে হাঁটলে মনে হয় যেন স্বর্গের পথে হাঁটছি।

জানা গেছে, ১৯১২ সালে শুভেচ্ছা নিদর্শন হিসেবে জাপান সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে তিন হাজার বিশটি চেরি গাছের চারা উপহার দিয়েছিল। ওই গাছগুলো নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের সাকুরা পার্কে এবং ওয়াশিংটন ডিসির ইস্ট পটোম্যাক পার্কের রাস্তার দুইপাশে লাগানো হয়।

পরে ১৯৬৫ সালে আরও ৩ হাজার ৮০০ চারা যুক্তরাষ্ট্রে উপহার হিসেবে পাঠায় জাপান। ফলে জাপানের জাতীয় ফুল সাকুরা বা চেরি এখন আমেরিকানদের কাছেও বেশ মোহনীয় একটি ফুল।

পূর্ব এশিয়ার ঐতিহ্য এ চেরি ভারতের হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীরেও দেখা যায়। জাপানে তো সাকুরা ফুটলে নানা রকম উৎসব করা হয়। কোরিয়ানরাও পিছিয়ে নেই। তারাও এ সময় বিভিন্ন রকম উৎসব আয়োজন করে।


প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

শেয়ার করুনঃ