কেয়া ফুল
বাংলায় প্রচলিত প্রবাদ আছে, বর্ষায় কেয়া ফুল না ফুটলে নাকি বর্ষাই শুরু হয় না। কেয়া ফুলের স্নিগ্ধতা, শুভ্রতা আর সুরভি সকলের মনে নাড়া দেয়।
কেয়া ফুল ফোটে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে। এই কারণে বাংলাদেশে একে বর্ষার ফুল বলা হয়। এই ফুলের রঙ সাদা এবং গন্ধযুক্ত।
কেয়া, সংস্কৃতিতে কেতকী হিন্দিতে কেওড়া আর ইংরেজি নাম scrwe pine. বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus Fascicularis. এটি Pandanus গণের উদ্ভিদ।
কেয়া গাছ লম্বায় লম্বায় ১০-১২ ফুট হয়ে থাকে। কেয়ার ফলও হয়। কেয়া ফল দেখতে আনারসের মতো। কেয়া ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Pandanus tectorius. ভারত, প্যাসিফিক আইল্যান্ডস, পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান এবং বাংলাদেশে কেয়া পাওয়া যায়।
কেয়া বা কেতকী ফুল সুগন্ধের জন্য প্রাচীনকাল থেকে জনপ্রিয়। বিরিয়ানি, পোলাও-এর পাশাপাশি কেক, মিষ্টি পায়েসেও ভিন্ন মাত্রা যোগ করে কেওড়া জল। বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় কেয়া ফুল থেকে সুগন্ধি জল তৈরি হয়। তেলও তৈরি হয় কেয়া ফুল থেকে, এ তেল খুশকি দূর করতে কাজে লাগে।
কেয়া ফলেরও রয়েছে নানা ব্যবহার। এর ফল কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও মাথাব্যাথা উপশমের কাজে ব্যবহার করা হয়।
কেয়া পাতা দিয়ে মাদুর পাল, ঝুড়ি ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এর থেকে প্রাপ্ত শুষ্ক ফাইবার পেইন্টিং ব্রাশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার